মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী তথা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ডিবেটে 'ডাহা ফেল' করেন বাইডেন। এই বিষয়ে এবার তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফ থেকে নয়া দাবি করা হল। সংবাদমাধ্যমকে বাইডেনের সহযোগীরা বলেছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভালো ভাবে কাজ করতে পারেন বাইডেন। তারপরই তিনি একটু দুর্বল বোধ করেন এবং তাঁর কথা জড়িয়ে যায়। এই আবহে রাতে ডিবেট হওয়ায় ভালো ভাবে পারফর্ম করতে পারেননি তিনি। (আরও পড়ুন: হতে পারে বড়সড় সাইবার হামলা, ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করল RBI, জারি নির্দেশিকা)
আরও পড়ুন: ছাদ ভাঙায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল,কবে খুলবে সেটি
উল্লেখ্য, প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনী ডিবেটে পররাষ্ট্র নীতি, অর্থনীতি, সীমান্ত ইস্যু, সামাজিক নিরাপত্তা, চাইল্ড কেয়ার, কংগ্রেস ভবনে হামলার ঘটনা এবং গর্ভপাতসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্ক হয় দুই নেতার মধ্যে। বিতর্কে যেখানে অভিবাসন নীতি নিয়ে বাইডেনের সমালোচনায় ট্রাম্প মুখর ছিলেন। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আইনি জট নিয়ে আক্রমণ শানান বাইডেন। এদিকে জোরদার বিতর্ক হলেও মার্কিন মিডিয়া এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে বাইডেন অনেকটাই পিছিয়ে আছেন ট্রাম্পের থেকে।
আরও পড়ুন: বদলে গেল বিধি, কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মেমো জারি সরকারের, জানুন বিশদে
বিতর্কেও বাইডেন সেভাবে সাড়া ফেলতে পারেননি বলে মত অধিকাংশ মার্কিন বিশ্লেষকদের। এমনকী বাইডেনের নিজের দলের অন্দরেই তাঁকে নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রেসিডেন্ট পদে থাকায়, তাঁকেই পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থী করতে চলেছে ডেমোক্র্যাটরা। তবে সেই বিতর্কের পরে বাইডেনকে সরানোর কথাও ভাবা হচ্ছে বিভিন্ন স্তরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিতর্কে বাইডেনের 'পারফর্ম্যান্স' ভালো ছিল না। এই আবহে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বদল করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে দলের মধ্যেই। যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে গলা চড়ান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি দাবি করেন, বিতর্ক সভায় ক্যাপটিল হিল হামলা নিয়ে মিথ্যা বলেন ট্রাম্প।
বয়সের চাপে বাইডেনকে নিয়ে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ঠাট্টা তামাশা হচ্ছে। ট্রাম্পও বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তোপ দেগেছেন বারংবার। আর গতকালকের ডিবেটে বাইডেনের খারাপ পারফর্ম্যান্সের পরে দলের মধ্যেই তাঁকে সরানোর বিষয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচনের মাত্র কিছু মাস আগে এই বদল আনা হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে বাইডেনের কর্মক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক ডেমোক্র্যাটই। এদিকে বিতর্কের সময় আমেরিকার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন বাইডেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে কর বাড়িয়ে দেবেন। এদিকে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে ট্রাম্পকে তোপ দাগেন বাইডেন। পালটা হান্টার বাইডেনের মাদক সেবন এবং অস্ত্র আইন লঙ্ঘন প্রসঙ্গ তোলেন ট্রাম্প।
https://bangla.hindustantimes.com/bengal