ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির হলের বাইরে সারি সারি ট্রাঙ্ক রাখা রয়েছে। সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই দাবি করছেন যে এই বাক্সগুলিতে আসলে উত্তরপত্র রাখা ছিল। এটা আসলে CUET-UG পরীক্ষার উত্তরপত্র রাখা ছিল। তবে টেস্টিং এজেন্সি এই দাবি একেবারেই মানতে চায়নি। তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে এই ভিডিয়োতে যে বাক্সগুলি দেখা গিয়েছে তা আগে থেকে খালি ছিল। তাতে কোনও সংবেদনশীল সামগ্রী ছিল না।
এক্স হ্যান্ডেলে সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে এনটিএ। তারা জানিয়েছে, এনটিএর হলের বাইরে যে বাক্সগুলি ছিল সেগুলি ফাঁকা ছিল। যেখানে বাক্সগুলি রাখা ছিল সেখানে নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। সেই ভিডিয়োর ক্যাপশানে এনটিএ লিখেছেন, এনটিএর হলের বাইরে খালি বাক্সগুলি রাখা ছিল। তার মধ্য়ে কোনও সংবেদনশীল সামগ্রী ছিল না। আমরা সেগুলি খোলা অবস্থায় রাখিনি। যেটা মিডিয়াতে বলা হচ্ছে। তাছাড়া যেখানে বাক্সগুলি ছিল সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্য়ক নিরাপত্তারক্ষী ছিল।
এদিকে নিট-ইউ পরীক্ষায় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নিয়ে নানা তদন্ত করছে। এখনও পর্যন্ত এনিয়ে একাধিক গ্রেফতারির ঘটনাও হয়েছে।
এদিকে সংসদে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণেও নিট পরীক্ষার সেই বিতর্কের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেখানে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, বর্তমানে নিটের অনিয়ম আর প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত যে অভিযোগ এসেছে তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হচ্ছে। পরীক্ষার পদ্ধতিটাকে উন্নতি করাটাই সরকারের মূল লক্ষ্য���
সুপ্রিম কোর্ট এনটিএর কাছে একটা নোটিশ ইস্যু করেছে। লার্নিং অ্য়াপের কাছ থেকে পিটিশন পেয়েই এই নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। আগামী ৮ জুলাই এনটিএ-কে এর জবাব দিতে হবে।
গত ৫ মে এনটিএ এই নিট ইউজি নিয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে যে ৬৭জন ছাত্রছাত্রী ৭২০ নম্বর পেয়েছে।
তবে প্রশ্নফাঁস রুখতে কড়া আইন এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাবলিক এক্সামিনেশন (প্রিভেনশন অব আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্টটি গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছিল। আর সম্প্রতি নিট এবং নেট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই এই আইনের নির্দেশিকা জারি করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এই আইন অনুসারে , কোনও ব্যক্তি যদি প্রশ্নপত্র ফাঁস বা পরীক্ষায় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে দোষীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হবে। এরপর আদালতে ধৃতের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ হয়ে গেলে ন্যূনতম তিন বছরের কারাদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কারাদণ্ডের সাজা অবশ্য ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
https://bangla.hindustantimes.com/bengal